প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গত ১৭ আগস্ট কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ্ব মৌলানা আনোয়ার শাহ এর জন্য এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  রামমোহন সেন। এতে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের প্রাক্তন সহকর্মীর শারিরিক সুস্থতাও পবিত্র হজ্ব পালনের সক্ষমতার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। দোয়া মাহফিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে জনাব মো: নাজেম উদ্দিন, শাহজাহান কুতুবী, মোক্তার আহমদ, আব্দুর রহিম সিকদার, জাকারিয়া, আব্বাস আহমদ, মো: ইব্রাহীম খলিল, সুমন তালুকদার, আব্দুল আমিন, জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম খান, সুমন বড়–য়া, আশফাক উদ্দিন, পলাশ কান্তি, হাফিজ কাদেরী, বিদ্যালয় জামে মাসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল গাফ্ফার ও ইমাম সাহেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিলে বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষক জনাব ন.ম.ম. মছরুর-উজ-জামান আগামী ২১/০৮/১৭ ইং তারিখ পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য সৌদিআরব যাত্রা করবেন বিধায়, তার সুস্থতা ও সুষ্টভাবে হজ্ব পালনের তাওফিক দানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করা হয়। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম জনাব শামশুল ইসলাম, তাছাড়া গত কাল শুক্রবার কক্সবাজার-রামুর বিভিন্ন মসজিদে জনাব মৌলানা এ.এম.এম আনোয়ার শাহ এর শারিরিক সুস্থতা ও পবিত্র হজ্ব পালনের তাওফিক দানের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়। তিনি গত ১৮/০৮/২০১৭ইং তারিখ মদিনায় রাসুল (স:) এর রওজা জেয়ারাত করেন এবং আগামী ২৬/০৮/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত পবিত্র মদীনা শরীফের আছ-ছাফা হোটেলে অস্থান করবেন। তাঁর বড় ছেলে রামু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব অ.ম.ম জহির তাঁর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। আনোয়ার স্যার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ, তার ছাত্র/ছাত্রী ও সকল শুভকাঙ্খী যারা তাঁর খোঁজ খবর নিচ্ছেন তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
মৌলানা এ.এম.এম. আনোয়ার শাহ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ঃ মৌলানা এ.এম.এম. আনোয়ার শাহ ১৯৩৬ সালে রামু উপজেলার বৃহত্তর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে বর্তমান চাকমারকুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আব্দুল্লাহ পুর (দক্ষিণ চাকমারকুল পশ্চিম পাড়া) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মৌলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ দেউবন্দ আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে কক্সবাজার হাশেমিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মোহাদ্দেস ও ফক্হি ছিলেন। মৌলানা আনোয়ার শাহ রামুর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রামু খিজারী বার্মিজ এটাস্ট প্রাইমারী থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালে দাখিল, ১৯৫৬ সালে আলিম, ১৯৫৮ সালে ফাজিল, ১৯৬০ সালে কামিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন ও সকল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। তিনি পুনরায় ১৯৬০ সালে মেট্রিক, ১৯৬২ সালে আই.এ ও ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ থেকে বি.এ পাস করেন। তিনি ১৯৬১ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুলে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৫ই মে তিনি কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান মাওলানা পদে যোগদান করেন ও দীর্ঘদিন একাধারে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে একই স্কুল থেকে এল.পি.আর ও ৩০/০৯/২০০০ ইং তারিখে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি চাকুরীকালীন সময়ে ১৯৯১ সালে প্রথম হজ্ব পালন করেন। তার ৫ পুত্র ও ২ কন্যা রয়েছে। বড় ছেলে অধ্যাপক আ.ম.ম. জহির উদ্দীন রামু কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। মেঝ ছেলে রামু মেরংলোয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসার বর্তমান সুপার। ৩য় ছেলে ডাঃ এ.জেড.এম. সেলিম কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জৈষ্ঠ্য মেডিকেল অফিসার, ৪র্থ ছেলে এ.এস.এম. তৈয়ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। আর ছোট ছেলে হাফেজ দেলোয়ার সাউথ ইস্ট ব্যাংক এর চকরিয়া শাখায় অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন। তাঁর ছোট মেয়ে স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করেন ও ছোট জামাতা আলম মাহমুদ বিশিষ্ট ব্যাংকার। তাঁর নাতি মতিউর রহমান মিনার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার (বুয়েট) হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন। তিনি গর্জনিয়া হাইস্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। একাধারে কলঘর বাজার ও কলঘর আবু বকর ছিদ্দিকী ইসলামী বালিকা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী, কলঘর জামে মসজিদের প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি, পশ্চিম চাকমারকুল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মতোয়াল্লী, আবদুল্লাহপুর জামে মসজিদের প্রতিষ্টাতা ও সভাপতি। তিনি চাকুরীকালীন সময়ে কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু, সুস্থতা ও সফলভাবে হজ্ব পালনের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি।